পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উদযাপন

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে  জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উদযাপন

নিজস্ব প্রতিনিধি : ‘স্মার্ট গ্রন্থাগার স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ রোববার পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উদযাপন করা হয়েছে। সকাল নয়টায় মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুনের নেতৃত্বে র‌্যালি বের হয়। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন। র‌্যালি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ও তথ্য কেন্দ্রের সামনে শেষ হয়।
গ্রন্থাগার ভবনের সামনে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন, সভ্যতার মাপকাঠি হলো লাইব্রেরী। লাইব্রেরী হলো জ্ঞান সংরক্ষিত রাখার জায়গা। জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করবে পন্ডিত ব্যক্তিরা, পন্ডিতরা লাইব্রেরীতে জ্ঞান আনবেন। সেই জ্ঞান আমরা নেব। গ্রন্থাগার জ্ঞানের সমন্বয়। স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট গ্রন্থাগার। স্মার্ট মানে হলো যুগোপযোগি জ্ঞান, শিক্ষা, প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ হওয়া। স্মার্ট মানে আধুনিক পোশাক নয়। স্মার্ট হতে হবে কাজে, মননে, মেধায়, দক্ষতায়। স্মার্টকে ধারণ করতে গিয়ে আমাদের আসল জিনিস যেন হারিয়ে না যায়। স্মার্ট হতে গিয়ে অস্তিত্ব যেন না হারিয়ে ফেলি। স্মার্ট হতে হলে পুরাতন কে ধারণ করেই এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন স্মার্টের নেগেটিভ দিকটাকে গ্রহণ না করে।

উপাচার্য আরও বলেন, লাইব্রেরীর উন্নয়নে সফটওয়্যার নিয়েছি অটোমশেন করার জন্য। লাইব্রেরীর উন্নয়নে অনেক দুর এগিয়েছি। আরো আগাবো আমরা। লাইব্রেরী সমৃদ্ধ না হলে বিশ্ববিদ্যালয় সমৃদ্ধ হবে না। বিশ্ববিদ্যালয় সমৃদ্ধ না হলে দেশ সমৃদ্ধ হবে না। কারণ এখানে বিশ্বের জ্ঞান সংরক্ষিত থাকে।

শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য মহোদয় বলেন, শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের সুযোগ তৈরি করে দেয়ার জন্য প্রতিটি সেমিনারে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে হবে। বিভাগের সেমিনার যেন সমৃদ্ধ হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজনীয় বই সেখানে রাখতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা সামনের দিকে আগাচ্ছি ভালো। নিজেদেরকে আরও উন্নত করার চেষ্টা করতে হবে। গ্রন্থাগার দিবসটি দেশ- জাতির জন্য একটি বিশেষ দিন। বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান অর্জন, আহরণ ও বিকশিত করার জায়গা। দেশ ও সমাজকে এগিয়ে নিতে গ্রন্থাগারের ভূমিকা অপরিহার্য।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম মোস্তফা কামাল বলেন, স্মার্ট জিনিসটা আগে ঠিক করতে হবে। স্মার্ট বলতে আমরা অনেকেই ভুল করে বসি। স্মার্ট হলো নিজেকে উন্নত, সমৃদ্ধ, মননশীল, পরিশীলিত করা। আমরা যোগদানের পর অটোমেশনের কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। নতুন নতুন বই আসছে। শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে গ্রন্থাগারের সময়সীমা বৃদ্ধি করেছি। আগামী ডিসেম্বর থেকে রাত আটটা পর্যন্ত লাইব্রেরী খোলা থাকবে। বইয়ের বৈচিত্র্য বাড়ানো হবে।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ উদ্দীন বলেন, উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য গ্রন্থাগারের ভূমিকা অপরিহার্য। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালে যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বেন তাতে স্মার্ট গ্রন্থাগারের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। কারণ জ্ঞানে-বিজ্ঞানে প্রযুক্তিতে আমাদের স্মার্ট হতে হবে। তবেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।

অতিরিক্ত গ্রন্থাগারিক হাফিজুর রহমান মোল্লার সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম। এসময় প্রক্টর কামাল হোসেন, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। শেষে মাননীয় উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারার লাইব্রেরী চত্বরে বৃক্ষ রোপন করেন।