রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প প্রথম ইউনিটের জন্য জ্বালানীর প্রথম ব্যাচের উৎপাদন সম্পন্ন, শিপমেন্টের জন্য প্রস্তুতি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প প্রথম ইউনিটের জন্য জ্বালানীর প্রথম ব্যাচের উৎপাদন সম্পন্ন, শিপমেন্টের জন্য প্রস্তুতি

পাবনা প্রতিনিধি : নির্মানাধীন রূপপর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের জন্য ফ্রেশ জ্বালানীর প্রথম ব্যাচের উৎপাদন সম্পন্ন হয়েছে।

বুধবার (৯ আগস্ট) রসাটমের জ্বালানী কোম্পানি টেভেলের একটি প্রতিষ্ঠান নভোসিবিরস্ক কেমিক্যাল কন্সেন্ট্রেটস প্ল্যান্ট (এনসিসিপি) তে এই জ্বালানীর এক্সসেপটেন্স ইন্সপেকশন সম্পন্ন হয়।

ইন্সপেকশনে অংশ নেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন, এনসিসিপি, টেভেল, এবং এতমস্ত্রয় এক্সপোর্ট (এএসই) প্রতিনিধিবৃন্দ।

সফলভাবে ইন্সপেকশন সম্পন্ন হবার পর এক্সসেপটেন্স প্রটোকলে স্বাক্ষর করেন রূপপুর এনপিপি নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ডঃ শৌকত আকবর, এবং এএসই ভাইস-প্রেসিডেন্ট এবং নির্মাণ প্রকল্পের অপর প্রকল্প পরিচালক আলেক্সি দেইরী।

বুধবার সন্ধ্যায় রোসাটম বাংলাদেশের এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রটোকল স্বাক্ষরিত হবার পর এই ফ্রেশ পারমাণবিক জ্বালানী উৎপাদনকারী কারখানা থেকে বাংলাদেশে শিপমেন্টের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন পেলো। আশা করা হচ্ছে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরেই এই জ্বালানী বাংলাদেশ পৌঁছুবে।

টেভেলের কোয়ালিটি ডিরেক্টর আলেক্সান্দার বুখালভ বলেন, ‘সফলভাবে পরিচালিত আমাদের সকল ভিভিইআর-১২০০ পাওয়ার ইউনিটগুলো থেকে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে টেভেল ফুয়েল কোম্পানি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য উন্নত এবং কার্যকরী পারমাণবিক জ্বালানী উৎপাদন করেছি।’

তিনি বলেন, ‘প্রাক-উৎপাদন এবং উৎপাদনের সকল ধাপে এমনকি বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহের ক্ষেত্রে আমরা গ্রাহকের সকল অগ্রাধিকারগুলো বিবেচনায় নিয়েছি। আমি অত্যন্ত আশাবাদী যে, আমাদের এই জ্বালানী আবারো রুশ পারমাণবিক প্রযুক্তির শ্রেষ্ঠত্ব ও সর্বোচ্চ নির্ভরযোগ্যতা প্রমান করবে।’

রূপপুর প্রকল্পের জেনারেল কন্ট্রাকটর এএসই ভাইস-প্রেসিডেন্ট আলেক্সি দেইরী জানান, ‘রূপপুর প্রকল্পের বাস্তবায়নের কাজ সম্পুর্ণভাবে পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছে। রসাটমের প্রকৌশল শাখা সকল ক্ষেত্রেই তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পুরোপুরিভাবে পূরণ করছে। প্রকল্প সাইটেই জ্বালানী পৌঁছানোর পূর্বেই প্রথম ইউনিটটি জ্বালানী লোডিং-এর জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যাবে। এছাড়াও রিয়্যাক্টরে জ্বালানী লোডিং-এর আগ পর্যন্ত সকল নিরাপত্তা চাহিদা পূরণ করেই এই জ্বালানী সংরক্ষণের সকল ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে।’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশকে যে জ্বালানী সরবরাহ করা হচ্ছে তা বর্তমানে স্বক্রিয় ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টরভিত্তিক তিনটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিটে ব্যবহৃত হচ্ছে। এগুলো হলো- লেনিনগ্রাদ এনপিপি, নভোভারোনেঝ এনপিপি, এবং বেলারুশ এনপিপি।

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জেনারেল ডিজাইনার ও কন্টাক্টর রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় কর্পোরেশন রসাটম কর্পোরেশনের প্রকৌশল শাখা।

প্রকল্পটিতে দু’টি ইউনিট স্থাপিত হবে, প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা ১,২০০ মেগাওয়াট। প্রতিটি ইউনিটে থাকছে ৩+ প্রজন্মের রুশ ভিভিইআর রিয়্যাক্টর, যেগুলো সকল আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা চাহিদা পূরণে সক্ষম।