পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়েতে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ইউসুফের পাবনার বাড়িতে শোকের ছায়া
নিজস্ব প্রতিনিধি : আমি বাসে উঠছি তুমি কি নামাজ পড়ছো। দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে এই কথাই শেষ কথা ইমাদ পরিবহনের হেলপার ইউসুফের।
পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়ের শিবচর উপজেলার কুতুবপুর এলাকায় এক্সপ্রেসওয়ের শিবচর উপজেলার কুতুবপুর এলাকায় ইমাদ পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসটির দুর্ঘটনায় নিহত বাসের হেলপার ইউসুফের (৪৫) পাবনার বাড়িতে শোকের ছায়া।
ইউসুফ আলী পাবনার সুজানগর উপজেলার পৌর এলাকার ৩ নং ওয়ার্ডের ভবানীপুর বান্নাই পাড়ার মৃত: গহের আলীর ছেলে।
ইউসুফের দুই স্ত্রী প্রথম স্ত্রী সাবানা খাতুন থাকেন পাবনার সুজানগর উপজেলার পৌর এলাকার ৩ নং ওয়ার্ডের ভবানীপুরের বান্নাইপাড়া মহল্লায়।
সেখানে এক ছেলে আশিক (১৭) এক মেয়ে সীমা খাতুন (২২) রয়েছে। দ্বিতীয় স্ত্রী হালিমা থাতুন (৩৫) এর বাড়ি গোপালগঞ্জের সদরে বসবাস করেন সেখানে এক ছেলে নুরনবী (১৫) এক মেয়ে আসিয়া খাতুন (১১) সহ বিয়ে হয় বাসের হেলপার ইউসুফের সাথে। প্রথম পক্ষের ছেলে আশিক রাজমিস্ত্রীর হেলপার, মেয়ে সীমার বিয়ে হয়েছে।
ইউসুফের প্রথম পক্ষের স্ত্রী সাবানা খাতুন (৩৬) প্রথম পাবনাকে জানান আমি এহন এহাবারে নিঃস্ব আমার আর কিছুই থাকলো না, আমি এহন কি নিয়ে বাঁচপ, কি খাব।
ইউসুফের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী হালিমা থাতুন কান্নাজড়িত কন্ঠে প্রথম পাবনাকে জানান চার বছর আগে বিয়ে কোন ছেলে মেয়ে হয় নাই। আমি বাসে উঠছি তুমি কি নামাজ পড়ছো । দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে এই কথাই শেষ কথা ইউসুফের।