বসুন্ধরার এক মাসের খাদ্য সহায়তা পেয়ে খুশিতে চোখে পানি গড়িয়ে পড়লো পাবনার জামেনা বেগমের

বসুন্ধরার এক মাসের খাদ্য সহায়তা পেয়ে খুশিতে চোখে পানি গড়িয়ে পড়লো পাবনার জামেনা বেগমের

নিজস্ব প্রতিনিধি : এখন খুব ভালো লাগছে, খুব খুশি হইছি, বসুন্ধরা গ্রুপ সহযোগিতা করছে ,তাদের জন্যি দোয়া করি আগে আল্লাহ তারপর বসুন্ধরা গ্রুপ আল্লাহ যেন তাদের ভালো রাখে নামাজ পড়ে সেই দোয়াই করব। বসুন্ধরা গ্রুপের এক মাসের খাদ্য সহায়তা পেয়ে পাবনা মোছা : জামেনা বেগম এমন কথা বলতে গিয়ে চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছিল।

পাবনায় দরিদ্র পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। আজ শনিবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে পাবনা পৌর এলাকার শালগাড়িয়া গোড়স্থানপাড়ার অতিদরিদ্র বিধবা মোছা : জামেনা বেগমের ঘরে এক মাসের চাল, ডাল, তেল, চিনি, আলু, লবনসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তুলে দিয়েছেন কালের কণ্ঠ শুভসংঘের পাবনার বন্ধুরা। এক মাসের খাবার পেয়ে আনন্দে চোখের জল গড়িয়ে পড়ছিল এই নারীর।

এসময় উপস্থিত ছিলেন শুভসংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সদস্য আলী আকবর রাজু, কালের কন্ঠ পাবনা জেলা প্রতিনিধি প্রবীর সাহা, শুভসংঘের জেলা শাখার সহ-সভাপতি বাবলা ওয়াজেদ, শুভসংঘ পাবনা সদর উপজেলা শাখার সভাপতি কামরুন নাহার লুনা, সাধারণ সম্পাদক নিপা ইসলাম, পাবনা সদর উপজেলা শাখার প্রচার সম্পাদক নুসরাত জাহান স্বর্ণা, রাজাপুর আলহাজ্ব ইলিয়াস উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক সাখাওয়াত হোসেন প্রমূখ।

বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তা পেয়ে মোছ: জমেনা বেগম বলেন, ‘নয় মাস আগে চা বিক্রতা স্বামী মারা যাওয়ার পর একমাত্র ছেলে জাহিদ সরদার ফটোকপির দোকানে কাজ করে, তার একটা ছোট ৪ বছরের মেয়েও রয়েছে সামন্য আয়ে নিজের সংসার চালাতেই হিমসিম খায় তার উপরে আমি অসুস্থ্য মানুষ আয়ে খেয়ে না খেয়ে কোনো রকম পেট চলে।

রমজানে খাবার নিয়ে খুব চিন্তেই ছিলাম। এখন খুব ভালো লাগছে, খুব খুশি হইছি, এখন ঈদটা ভালো করে করতে পারব, এটা না পালি ঈদ করতে খুব কষ্ট হতো। বসুন্ধরা গ্রুপ সহযোগিতা করছে ,তাদের জন্যি দোয়া করি আগে আল্লাহ তারপর বসুন্ধরা গ্রুপ আল্লাহ যেন তাদের ভালো রাখে নামাজ পড়ে সেই দোয়াই করব। বসুন্ধরা গ্রুপের এক মাসের খাদ্য সহায়তা পেয়ে পাবনা মোছা : জামেনা বেগম এমন কথা বলতে গিয়ে চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছিল।

স্কুল শিক্ষক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমি খুব কাছ থেকে দেখে এই নারী তারা কত কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। যার সামর্থ্য আছে সবারই এসব মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত। বসুন্ধরা গ্রুপের মত হাত খুলে সমাজের উচ্চবিত্তরাও যদি এগিয়ে আসত, দেশে অভাব থাকতো না। আমি বসুন্ধরা পরিবারকে এই মহৎ কাজের ধন্যবাদ জানাই।

শুভসংঘের পাবনা সদর উপজেলা শাখার সভাপতি কামরুন নাহার লুনা বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপ সব সময় দরিদ্র ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায়। গত বছর করোনা শুরুর পর থেকে বসুন্ধরা গ্রুপ হাত খুলে এগিয়ে এসেছে। দেশজুড়ে সহায়তার হাত বাড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ১০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে। এবারও এই দরিদ্র পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী দিয়েছে। আমি বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান মহোদয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’