অধ্যাপক পদোন্নতি দাবীতে পাবিপ্রবি শিক্ষক আলিমের অবস্থান কর্মসূচি , উপাচার্যের আশ্বাসে প্রত্যাহার 

অধ্যাপক পদোন্নতি দাবীতে পাবিপ্রবি শিক্ষক আলিমের অবস্থান কর্মসূচি , উপাচার্যের আশ্বাসে প্রত্যাহার 

পাবনা প্রতিনিধি : অধ্যাপক পদোন্নতির দাবীতে মঙ্গলবার সকাল ১০ টা থেকে প্রশাসনিক ভবনের গেটে তালা ঝুলিয়ে সামনে কম্বল নিয়ে অবস্থান নেন পাবিপ্রবির বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবদুল আলিম।

অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে ড. এম আবদুল আলীম বলেন, চার বছর ধরে আমার পদোন্নতি অধ্যাপক আটকে রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অথচ আমার পদোন্নতি চার বছর আগেই দেয়ার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

ড. আবদুল আলিম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, ড. মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, ড. সাইফুল ইসলাম,  ড. রাহিদুল ইসলাম রাহি, ড. খাইরুল আলম। তারা সবাই বিভিন্ন বিভাগের ডিন। এই চক্রটি আমার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ভুলভাল বুঝিয়ে এই জটিলতা সৃষ্টি করেছেন।

ড. আবদুল আলিম বলেন, বিকেলে উপাচার্য মহোদয়ের সাথে আমার রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়েছে। তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে এর সুরাহা করার আশ্বাস দিয়েছেন। আমি আপাতত অবস্থান থেকে সড়ে আসছি।

অভিযোগের বিষয়ে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ বলেন, ড. আবদুল আলিম যে অভিযোগ করেছেন তা মোটেও সঠিক নয়। তার পার্সোনাল বিষয়ে অন্য কাউকে জড়িয়ে মনগড়া অভিযোগ করাটা কোন ভদ্রতার মধ্যে পড়ে এটা আমাদের বুঝে আসেনা।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে পাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন, প্রশাসনিক ভবনে ব্যক্তি স্বার্থে  তালা লাগিয়ে রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যাঘাতের সামিল অপরাধ। তিনি আসলে তার ভুলটা বুঝতে পারছেন না। উপাচার্য বলেন, ড. আলিমের ধারনা পূর্বের মতো তালা ঝুলিয়ে দিলেই কোন কার্য হাসিল করা যায়। এটা সঠিক নয়। আমি তাকে ডেকে বুঝিয়ে দিয়েছি। সে তার অবস্থা থেকে সড়ে এসেছেন।

পাবিপ্রবি বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. এম আবদুল আলিম ইতোপূর্বে ১০১ টি অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও দূর্নীতির শ্বেতপত্র বের করে একাই প্লেকার্ড, ফেস্টুন ও ব্যানার নিয়ে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক ও প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন। প্রসঙ্গত বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরীসহ প্রতিষ্ঠান বিরোধী নানা কর্মকাণ্ডের সাথে তিনি জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।