ইন্টার্ন নার্সকে মারধরের প্রতিবাদে তৃতীয়দিনে কর্মবিরতি
নিজস্ব প্রতিনিধি : ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট পাবনা জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত রাজা হোসেন নামের এক ইন্টার্ন নার্সকে মারধরের প্রতিবাদে তৃতীয়দিনের মতো চলছে কর্মবিরতি। ইন্টার্ন নার্সদের ৮ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় কর্মবিরতি অব্যাহত রেখেছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (০২ ফেব্রুয়ারি) সকাল দশটার দিকে তৃতীয়দিনের মতো হাসপাতাল চত্বরে অবস্থান নেন ইন্টার্ন নার্সরা। তাদের ৮ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি পালনের করবেন বলে জানিয়েছেন তারা। পরে র্যালী নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করেন। জেলা প্রশাসক না থাকায় পরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে গিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলমের সাথে দেখা করে তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরে প্রতিকার দাবি করেন। পুলিশ এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেবে বলে আশ্বস্ত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
ইন্টার্ন নার্সদের অভিযোগ, পাবনার ইছামতি নার্সিং কলেজের ডিপ্লোমা ইন সাইন্স এন্ড মিডওয়াইফারির দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাজা হোসেন গত মঙ্গলবার দুপুরে মেডিসিন ওয়ার্ডের মহিলা ইউনিটে ডিউটিরত ছিলেন। ওই সময় বেশি দামে ইসিজি করা নিয়ে রোগীর এক আত্মীয়ের সাথে হাসপাতালের দালাল সাদ্দাম হোসেনের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় নার্স রাজা হোসেন ওই দালালকে উত্তেজিত না হয়ে রোগীর সঙ্গে হাসপাতালের বাহিরে গিয়ে কথা বলতে বলেন।
এসময় দালাল সাদ্দাম হোসেন ওই নার্সের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর শুরু করে। অন্য নার্সরা বাধা দিতে আসলে তাদেরকেও মারধর করা হয়। এরপর রোগী হয়রানি বন্ধ, নার্সদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ ৮ দফা দাবিতে ওইদিন বিকেলে থেকে কর্মবিরতি পালন শুরু করেন। তবে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত তাদের দাবি বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট নার্সেস ইউনিয়ন পাবনা শাখার সভাপতি জাহিদ হাসান বলেন, হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম দীর্ঘদিনের। এর আগেও এরকম ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু বারবারই তারা পার পেয়ে যায়। কিন্তু স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উদাসীন ভূমিকা পালন করেন। তাই আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।
হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডা. ওমর ফারুক মীর বলেন, আন্দোলনরত ইন্টার্ন নার্সদের সাথে কথা বলে কিভাবে এ সমস্যা থেকে উত্তোরণ ঘটানো যায়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে। দালালদের দৌরাত্ম বন্ধে ইতিমধ্যে পুলিশ প্রশাসনের কথা হয়েছে। ইন্টার্ন নার্সদের কর্মস্থলে ফেরাতে কাজ করছেন বলেও জানান তিনি।