আন্ত:জেলা মোটরসাইকেল চোরচক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার; ৭টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার

আন্ত:জেলা মোটরসাইকেল চোরচক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার; ৭টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিনিধি : পাবনায় অভিযান চালিয়ে আন্ত:জেলা মোটরসাইকেল চোরচক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার ও সাতটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ।

বুধবার (০৮ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পাবনা ডিবি পুলিশ কার্যালয়ের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, জেলার সুজানগর উপজেলার মানিকদিয়ার গ্রামের মনিরুল শেখ (২০), আতাইকুলা থানার শ্রীকোল চরপাড়া গ্রামের শাহীন আলম সুজন (২৫) ও একই থানার কৈজুরী শ্রীপুর গ্রামের মুরাদ প্রামানিক (৪৫)।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী বলেন, গত ২৭ জানুয়ারী দুপুরে পাবনা সদর উপজেলার দোহারপাড়া জামে মসজিদের সামনে থেকে একটি মোটরসাইকেলটি চুরি করে সংঘবদ্ধ চোরচক্র। এ ঘটনায় মোটরসাইকেল মালিক আহম্মেদ আলী মুন্সী ৮ ফেব্রুয়ারী সদর থানায় একটি মামলা করেন।

এরপর ডিবি পুলিশের একটি দল গত ৬ ও ৭ মার্চ পাবনা সদর, আতাইকুলা ও সুজানগর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোরচক্রের উল্লেখিত তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের দেয়া তথ্যে উদ্ধার করা হয় বিভিন্ন সময় চুরি হওয়া সাতটি চোরাই মোটরসাইকেল।

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার শাহীন আলম সুজন পুলিশকে জানিয়েছে, ‘মোটরসাইকেলের লক ভাঙার এক অভিনব কৌশল গুগল থেকে শিখেছে চোরচক্রের সদস্য শাহীন আলম সুজন। সেই কৌশল কাজে লাগিয়ে চোখের পলকে ১/২ মিনিটের মধ্যে একটি মোটরসাইকেলের লক খুলে চুরি করে নিয়ে যায় তারা।’

সুজন আরও জানায়, ‘চুরি করার সময় তারা ঘটনাস্থলে তিনজন অবস্থান করে। একজন মোটরসাইকেলের মালিকের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে, একজন মোটরসাইকেলের লক ভাঙে এবং ফাইনালি অন্যজন মোটরসাইকেল চালিয়ে পালিয়ে যায়। পরে চোরাইকৃত মোটরসাইকেল একজনের গ্যারেজে নিয়ে মোটরসাইকেলের লকসেট, কালার পরিবর্তন করে গ্রাহকের কাছে ৪০-৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করে। এই গ্রুপের টার্গেট পালসার মোটরসাইকেল।’

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) জিয়াউর রহমান, সহকারি পুলিশ সুপার (এসএএফ) আরজুমান আক্তার, ডিবি পুলিশের ওসি এমরান মাহমুদ তুহিন উপস্থিত ছিলেন। পরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।