ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন পাবিপ্রবিতে

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন পাবিপ্রবিতে

নিজস্ব প্রতিনিধি : ৭ মার্চ বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক অনন্য দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে জনসমুদ্রে বঙ্গবন্ধুর বজ্রকন্ঠের ভাষণের রেশ ধরেই মহান মুক্তিযুদ্ধের দিকে এগিয়ে গিয়েছিল বাঙালি। দিনটি যথাযথ মর্যাদা ও উৎসমখুর পরিবেশে উদযাপন করেছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার। সকাল ১০টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে উপাচার্য ড. হাফিজা খাতুনের নেতৃত্বে র‌্যালি বের হয়। র‌্যালি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে বঙ্গবন্ধুর জম্মশত বার্ষিকীর স্মারক ম্যুরাল জনক জ্যোতির্ময়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। এরপর শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন- বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল প্রশাসন, শেখ হাসিনা হল প্রশাসন, পদার্থবিজ্ঞান সমিতি, আইসিই সমিতি, ইতিহাস ও বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগ, রসায়ন সমিতি, ইংরেজি বিভাগ ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কাউন্সিল।

এরপর এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর বজ্রকন্ঠের ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে বাঙালি যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল। এই ভাষণ বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভাষণের অন্যতম। এর প্রতিটা শব্দ এতটাই তাৎপর্যপূর্ণ ছিল যে একটি দেশের মানুষকে এমনভাবে নাড়া দিয়েছিল তারা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল। আমরা নয় মাস যুদ্ধ করেছি যার প্রধান অনুপ্রেরণা ছিল বঙ্গবন্ধুর ভাষণ। ভাষণের কথা, ছন্দ যেন কবিতা হয়ে উঠেছিল। বঙ্গবন্ধু যেমন ছিলেন রাজনীতির কবি, তেমনি তার ভাষণ হয়েছিল কবিতার মতো ছন্দময়। ১৮ মিনিটের ভাষণে বাঙালি পেয়েছিল স্বাধীনতার দিক নির্দেশনা। এরপর সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ, ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণটিকে ২০১৭ সালে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেসকো বিশ্ব ইতিহাসের দলিল হিসেবে গ্রহণ করে।
উপাচার্য মহেদায় আরও বলেন, আমরা যেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, চেতনাকে আনুষ্ঠানিকতায় আবদ্ধ না রেখে বুকে ধারণ করি, লালন করি, চর্চা করি ব্যক্তি , সামাজিক , রাষ্ট্রীয় ও সামগ্রিক জীবন ব্যবস্থায়। বঙ্গবন্ধুর দিক নির্দেশনা মোতাবেক তাঁরই কন্যা জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিচ্ছে।

বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান বলেন, আজকের এই পবিত্র দিনে আমার আহবান থাকবে যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ চেতনা ধারণ করেন না তারা বঙ্গবন্ধুকে জানবেন, তাঁর আদর্শে ফিরে আসবেন। শবেবরাতের রাতে সৃষ্টিকর্তার কাছে সবাই বঙ্গবন্ধুর জন্য দোয়া করবেন, মাগফেরাত কামনা করবেন।

বিশেষ অতিথি অধ্যাপক ড. এ কে এম সালাহ উদ্দিন বলেন, ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি রচিত হয়েছিল। ৪৭ থেকে ৭১ পর্যন্ত ধাপে ধাপে বাঙালিকে প্রস্তুত করেছিলেন। তিনি স্বাধীনতার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তার চুড়ান্ত রুপ দিয়েছিলেন ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে।বাঙালির স্বাধীনতা কেন দরকার? তা তুলে ধরেছিলেন তাঁর ভাষণের মাধ্যমে। তিনি আমাদের এনে দিয়েছিলেন মুক্তি। বঙ্গবন্ধুর চেতনা আদর্শকে বুকে ধারণ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা দেশকে গড়ে তুলব। রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। দিনব্যাপী ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার করা হয়।