প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা

প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা

১৫ ফেব্রুয়ারি দৈনিক আজকের পত্রিকার তৃতীয় পৃষ্ঠায় ‘পাবনা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; পদোন্নতির দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিলেন শিক্ষক’ এবং প্রথম আলোর অনলাইন ভার্সনে ‘পাবনা বিশ্ববিদ্যালয়; পদোন্নতির দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে শিক্ষকের তালা’ শিরোনামের সংবাদটি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদের কিছু অংশে ভুল তথ্য প্রকাশ করায় ব্যাখ্যা দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

সংবাদের দ্বিতীয় অংশে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. এম আবদুল আলীম বলেছেন, ‘চার বছর ধরে আমার পদোন্নতি আটকে রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অথচ চার বছর আগেই আমাকে পদোন্নতি দেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাখ্যা, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম বলেন, শিক্ষক আবদুল আলীমের তথ্যটি সঠিক নয়। মন্ত্রণালয় থেকে আমাদেরকে এমন কোনো নির্দেশনা প্রদান করা হয়নি। তাছাড়া পদোন্নতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে বিশ্ববিদ্যালয় রিজেন্ট বোর্ড। রিজেন্ট বোর্ডের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। পূর্বে তাঁর বিভিন্ন কর্মকান্ডের বিষয়ে রিজেন্ট বোর্ডের মাধ্যমে তদন্তনাধীন আছে। তবে তাঁর পদোন্নতির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই তাঁর পদোন্নতির বিষয়টি বিবেচিত হবে। বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে গত বছরের ১৬ এপ্রিল ২০২২-এ যোগদান করেন। সেক্ষেত্রে চার বছর ধরে পদোন্নতি আটকে রাখার বিষয়টি, অভিযোগকারী শিক্ষকের সাথে বর্তমান প্রশাসনের কোনো সম্পর্ক নেই।

প্রথম আলোর অনলাইনে সংবাদটির প্রথম প্যারায় বলা হয়েছে, ঐ শিক্ষক দুপুরে ক্যাম্পাসে ঢুকে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন। এখানেও তথ্যটি ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। তিনি সকাল ৮ টায় ক্যাম্পাসে ঢুকে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন।

সংবাদের তৃতীয় প্যারায় বলা হয়েছে, পদোন্নতি কমিটিও তাঁর পক্ষে সুপারিশ করেছে। কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা, তাঁর পদোন্নতির বিষয় রিজেন্ট বোর্ডের আলোচ্যসূচিত থাকলেও ফাইলটি রিজেন্ট বোর্ডে উন্মুক্ত করা হয়নি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে শিক্ষকদের মধ্যে গ্রুপিং তৈরি এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টার বিষয়ে তাঁর বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। উক্ত কমিটির প্রতিবেদনের সুপারিশ পাওয়ার পর, তাঁর অধ্যাপক পদের পদোন্নতির সুপারিশটি উন্মুক্ত করা হবে। পরবর্তীতে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।