পাবনার হেমায়েতপুরে প্রভাবশালী জামায়াত নেতা ইউপি চেয়ারম্যান আলম হাজীর মাটি ও বালু কাটা বন্ধের দাবীতে কৃষকদের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

পাবনার হেমায়েতপুরে প্রভাবশালী জামায়াত নেতা ইউপি চেয়ারম্যান আলম হাজীর মাটি ও বালু কাটা বন্ধের দাবীতে কৃষকদের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

পাবনা প্রতিনিধি : পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, প্রভাবশালী জামায়াতে ইসলামীর নেতা জাহাঙ্গীর আলম ওরফে আলম হাজীর বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন ও এসকেভেটর দিয়ে মাটি কেটে ইটভাটায় নেয়ার কারণে বসতবাড়ি, কৃষি জমি ও ফলফলাদির বাগান হুমকির মুখে পড়েছে।

প্রভাবশালী আলম হাজীর মাটি কাটা ও বালু উত্তোলন বন্ধের দাবীতে বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় শতশত কৃষকসহ নারী-পুরুষ গ্রামবাসী হেমায়েতপুর ইউনিয়নের চরবাঙ্গাবাড়িয়া গ্রামে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন করেছেন। একই সাথে তারা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ভূমি মন্ত্রণালয় বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

মানববন্ধন চলাকালে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মজনু বিশ্বাস, কামাল হোসেন, আব্দুল করিম পাঞ্জুসহ বেশ কিছু কৃষক বলেন, প্রভাবশালী আলম হাজীর অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। দিনদিন তিনি ড্রেজার দিয়ে বালু তুলে নিজ জমি ভরাট ও এসকেভেটর মেশিন দিয়ে মাটি কেটে তার ভাটায় নেয়ায় আমাদের বসত ভিটা, কৃষি জমি, আম, লিুচ ও কলার বাগান হুমকির মুখে পড়েছে।

কৃষক খাইরুল ইসলাম, নুর ইসলাম, সালাম জোয়াদ্দার বলেন, স্বল্প মূল্যে জোরপূর্বক খন্ডখন্ড কৃষি জমি কিনে বালু কাটা ও মাটি কাটার ফলে পাশের জমি ভাঙ্গনের শিকার হয়। ওই জমিও জোর করে তিনি দখল নিয়ে বালু ও মাটি কাটা শুরু করেন। তার গুন্ডা বাহিনীর ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। কেউ কিছু বললেই তাদের উপর নেমে আসে জুলুম, নির্যাতনসহ নানা হয়রানী।

স্থানীয় বাসিন্দা দরবেশ, লিটন প্রামানিক, সুজন মাহমুদ বলেন, আলম হাজীর মাটি কাটা ও বালু কাটার কারণে বসত জমি, কৃষি জমি, বিভিন্ন বাগানই নয়, নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক। সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত গ্রামীণ সড়ক এই মাটি ও বালু দস্যুদের কারনে কোন সুফল নয় বরং কুফল বয়ে আনছে। আমরা এই নির্যাতনের হাত থেকে মুক্তি চাই। তারা আরও বলেন, তাদের মাটি ও বালু কাটার ফলে এরাকার প্রায় দেড়শ টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। পানির স্তর দিনদিন নীচে নেমে যাচ্ছে। মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে।

এ ব্যাপারে অভিযোগের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ওরফে আলম হাজীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন। পরে আবার ফোন দেয়া হলে তার ম্যানেজারকে দিয়ে ফোন রিসিভ করে তিনি বাইরে রয়েছেন বলে জানানো হয়।