পাবনায় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের আবির্ভাব দিবস উপলক্ষে তিনদিনের মহোৎসব শুরু
নিজস্ব প্রতিনিধি : শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের ১৩৬তম আবির্ভাব ও পূর্ন্যগঙ্গাস্নান উৎসব উপলক্ষে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) থেকে তিনদিনের মহোৎসব শুরু হয়েছে । এ উপলক্ষে পাবনার হিমাইতপুর আশ্রমে নানা আয়োজন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর ) সন্ধ্যায় প্রধান অতিথি হিসেবে মহোৎসবের উদ্বোধন করবেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বপন কুমার রায়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা চন্দন কুমার চক্রবর্তী, ডিডি এনএস আই মাইনুল হাসান, পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, ইউনিভার্সাল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহানী হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেন আশ্রম সম্পাদক রঞ্জন কুমার সাহা। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃপা সিন্ধু বালা, অধ্যাপক সমাপ্ত কুমার সাহা, দীলিপ পোদ্দার। সভাপতিত্ব করবেন সিনিয়র সহসভাপতি অধ্যাপক গুপীনাথ কুন্ডু। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ড. নরেশ চন্দ্র মধু।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বপন কুমার রায় তার বক্তব্যে বলেন, ঠাকুরের আদর্শ যদি সারা দুনিয়ার মানুষ ভক্তিভরে পালন করে তা হলে কোন দুঃখ, কষ্ট, অভাব থাকবে না। যেমন সৎসঙ্গ, সৎসঙ্গটি ধারণ করতে হবে। আমরা সবাই জানি সৎসঙ্গে স্বর্গ বাস, অসৎসঙ্গে সর্বনাশ।
তিন দিনের মহোৎসবে রয়েছে, সমবেত প্রার্থনা, যুব সম্মেলন, ঋত্বিক সম্মেলন, মাঙ্গলিকা ঊষাকীর্তন, ঠাকুরের জন্ম দিবসে প্রণাম ও অর্ঘাঞ্জলী অর্পন, গঙ্গাস্নান, জন্মস্থান প্রদক্ষিণ, কিশোরমেলা, ভক্তিগীতি, লোকরঞ্জনসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হবে।
আশ্রম সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় দিনে মাতৃ সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন পাবনা-সিরাজগঞ্জ সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য নাদিয়া ইয়াসমিন জলি ও দ্বিতীয় দিনের আলোচনা সভা প্রধান অতিথি থাকবেন পাবনা-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স। এছাড়াও রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ীসহ সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অতিথি থাকবেন৷
অনুষ্ঠান ঘিরে নিরবিচ্ছিন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে পুলিশ প্রশাসনের থেকে। প্রচার সম্পাদক হিরন্ময় ঘোষ জানান, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঠাকুরের ভক্ত অনুসারীরা এসেছেন। দেশের বাইরে থেকেও ঠাকুর ভক্তরা আসবেন। তিনদিন ব্যাপি অনুষ্ঠানে দেশ ও দেশের বাইরে থেকে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার ভক্তবৃন্দের সমাগম ঘটবে।