পাবিপ্রবিতে প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনে সেমিনার ও প্রোগ্রামিং কনটেস্ট অনুষ্ঠিত

পাবিপ্রবিতে প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনে সেমিনার ও প্রোগ্রামিং কনটেস্ট অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার : প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জনের প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করতে ও সকলের বিভিন্ন দক্ষতা শেখার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো সেমিনার ও প্রোগ্রামিং কনটেস্ট।

বুধবার (১৪ জুন) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সলভার গ্রিন ক্লাবের সহযোগিতায় এই সেমিনারের আয়োজন করে এডুপাই একাডেমী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যালারী-২ এ অনুষ্ঠিত সেমিনারে ইন্ট্রা ইউনিভার্সিটি প্রোগ্রামিং কনটেস্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন ও কন্টেন্ট রাইটিং এই তিনটি বিভাগে প্রতিযোগতা অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। পরে তিন বিভাগের বিজয়ীদের মাঝে সার্টিফিকেট, ক্রেস্ট ও ইন্টার্নশিপ দেয়া হয়।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর হাফিজা খাতুন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কামাল হোসেন, এসলভার গ্রিনের উপদেষ্টা ফিরোজ আলী ও আতাউজ্জামান, ডুপাই একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, সহকারি প্রতিষ্ঠাতা শেখ আব্দুল মুনিম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন, আমাদের শিক্ষাটা হওয়া উচিত কিছুটা ভার্সাটাইল। আমরা প্রথমেই শিক্ষার্থীদের একটি মেশিনে ঢুকিয়ে দিচ্ছি। তারা কিভাবেই একটা মেশিন হয়ে যাচ্ছে। অন্য সাইটগুলো তাদের অন্যরকমই থেকে যাচ্ছে। প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জনে পিছিয়ে পড়ছে। নন টেক হলে সে আগাতেই পারবে না। তার মানে তাদের প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পর্কে জানতে হবে। সমাজ তখনই আগাবে যখন আমাদের সবার সহযোগিতা করার মানসিকতা বাড়বে। আমি খুবই আশাবাদি, আমি সামনে আলো দেখতে পাচ্ছি, অন্ধকার নয়। নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের হাত ধরে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অনেকদূর এগিয়ে যাবে।

উল্লেখ্য, এডুপাই একাডেমী হলো স্কিল ডেভোলপিং প্লাটফর্ম। যেখানে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন আইটি বিষয়ক স্কিল ডেভোলোপের মাধ্যমে স্বনির্ভর হওয়ার জন্য অনুপ্রেরণা দেওয়া হয় এবং স্কিল ডেভেলপমেন্টে প্রত্যক্ষভাবে সাহায্য করা হয়।

আর সলভার গ্রিন একটি প্রযুক্তি নির্ভর স্কিল ডেভেলপমেন্ট ক্লাব। যেটি প্রযুক্তিগত জ্ঞান শেখানো, সেচ্ছাসেবীতা, শিক্ষা, আত্মউন্নয়ন এবং গবেষনায় উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি পেশাগত দক্ষতা, নেতৃত্ব দানের গুনাবলী ও আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরীতে অবদান রাখে।