আমরা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব- পাবিপ্রবি’র ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ড. মো. আফতাব আলী শেখ

আমরা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব- পাবিপ্রবি’র ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ড. মো. আফতাব আলী শেখ

পাবনা প্রতিনিধি : পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে ১৫তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করেছে।

আজ সোমবার (৫ জুন ) সকালে পাবিপ্রবিতে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আফতাব আলী শেখ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ্ উদ্দীন। অনুষ্ঠানে দেশের স্বনামধন্য ২০ জন বিজ্ঞানী উপস্থিত ছিলেন ।

সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয় এবং ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণ করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. মো. আফতাব আলী শেখ বলেন, এখানকার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বিসিএসআইআর-এর সাথে যৌথ গবেষণার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন। ডিজিটাল বাংলাদেশের উপর দাঁড়িয়ে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব। ভালো কিছু করার ক্ষেত্রে সবাইকে নিয়ে একসাথে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, আমরা এখন ক্যাশলেস সোসাইটির দিকে যাচ্ছি। এরফলে প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে, সেভাবেই তোমাদের আগাতে হবে। ভালো কিছু পেতে হলে নিয়মতান্ত্রিকভাবে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। আগামী স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও শিক্ষার মাধ্যমে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে তোমাদের নেতৃত্ব দিতে হবে।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান বলেন, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও আধুনিক মননে আমাদের উন্নত হতে হবে। অন্যের দোষ ধরা থেকে বিরত থেকে নিজেকে শুদ্ধ করতে হবে। নিজের মাধ্যমে যাতে অন্যের অধিকার ক্ষুণœ না হয়, সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। সকলের সম্মিলিত সহযোগিতা ও আন্তরিকতার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ্ উদ্দীন বলেন, দিবস মানে অতীতকে স্মরণ করা। আর অতীতকে স্মরণের মাধ্যমেই আমরা সামনে এগিয়ে যাচ্ছি। আধুনিক, গবেষণাধর্মী ও প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আগামী বাজেটে গবেষণাখাতে চলতি বছরের বাজেট থেকে দ্বিগুণ বরাদ্দ আমরা পেয়েছি। এরফলে গবেষণা কর্মকান্ডকে আরও তরান্বিত ও গতিশীল করা যাবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন সভাপতির বক্তব্যে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুদূরপ্রসারী নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আগামী বছর মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দীনের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করছি। তিনি বলেন, আমাদের গ্র্যাজুয়েটরা সারা পৃথিবীতে সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়কে ভালোবেসে কাজ করছে এবং এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি আমন্ত্রিত অতিথিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম। পরিবেশ দিবসে পরিবেশ নিয়ে বক্তব্য দেন জীব ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. রাহিদুল ইসলাম।

শিক্ষকদের বেস্ট রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড প্রদান, মেধাবী শিক্ষার্থীদের ডিনস্ অ্যাওয়ার্ড প্রদান ও শিক্ষার্থীদের আর্থিক অনুদান প্রদান এবং ডকুমেন্টারীর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে উপস্থাপন করা হয়। এবং বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী উদযাপন অনুষ্ঠান চলে।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, অতিথিসহ গণমাধ্যমের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।