চারদিনের সফর শেষে বঙ্গভবনের উদ্দেশ্যে পাবনা ছেড়েছেন রাষ্ট্রপতি
নিজস্ব প্রতিনিধি : চারদিনের সফর শেষে বঙ্গভবনের উদ্দেশ্যে নিজ জেলা পাবনা ছেড়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
এসময় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, পাবনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স, মাছরাঙা টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্চন চৌধুরী প্রিন্টু, জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন এবং পাবনা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সীসহ অর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে বিদায় জানান।
সফরসূচি হিসেবে সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানী তেজগাওস্থ বিএএফ বেইজ বাশার হেলিপ্যাড হয়ে রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবনে পৌঁছানের কথা রয়েছে।
গত সোমবার (১৫ মে) বেলা ১২টার দিকে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে নিজ জেলা পাবনায় এসে পৌঁছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এরপর পাবনা সার্কিট হাউজে উপস্থিত হয়ে গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন। দুপুর দেড়টায় জেলা পরিষদ বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরের নাম ফলক উদ্বোধন ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। দুইটার দিকে পাবনা সদর আরিফপুর কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোনাজাতে অংশ নেন।
এরপর তিনি স্কয়ার বাগানবাড়িতে পারিবারিক সমাধিস্থলে উপস্থিতি, পুষ্প অর্পণ এবং প্রার্থনায় অংশ নিয়ে প্রথম দিনের কার্যক্রম শেষ করে সার্কিট হাউজে অবস্থান করেন। এদিন রাতে আকস্মিকভাবে স্মৃতিময় আড্ডাস্থল বাল্যবন্ধুর ঐতিহ্যবাহী লক্ষ্মী মিষ্ঠান্ন ভান্ডারে আসেন এবং বেশ কিছুক্ষণ অবস্থান করেন।
দ্বিতীয়দিন মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে পাবনার বিসিক শিল্পনগরীতে স্কয়ার সায়েন্স এন্ড লাইফ প্ল্যান্ট উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি। পরে দুপুর ১২টার দিকে পাবনা প্রেসক্লাবে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং বিকেলে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে নাগরিক সংবর্ধনায় অংশগ্রহণ করেন। সেখানে সমসাময়িক বিষয়ে বক্তব্য রাখেন এবং ঢাকা-পাবনা সরকারি ট্রেন চলাচলের ঘোষণা দেন।
তৃতীয়দিন বুধবার বেলা ১২টার দিকে রাষ্ট্রপতি তার আরেক স্মৃতিময় আড্ডাস্থল পাবনা ডায়াবেটিস সমিতি পরিদর্শন করেন এবং সুধি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। বিকেলে পাবনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের জাদুঘর, বঙ্গবন্ধু কর্ণার, বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল উদ্বোধন এবং আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। ৫টার দিকে জুবলি ট্যাঙ্কের বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন চুপপু বিনোদন পার্ক পরিদর্শন করেন। এসময় পার্ক সংলগ্ন নিজের বাড়িতেও কিছুক্ষণ অবস্থান করেন। পরে রাতে বনমালী শিল্লকলা একাডেমিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।