রূপান্তরের পথে পাবিপ্রবি

রূপান্তরের পথে পাবিপ্রবি

জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক ড. এসএম আব্দুল-আওয়াল ২০২৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেন। সে হিসেবে এ বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর আজ তাঁর উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের একবছর পূর্ণ হলো। এক বছরের ক্লান্তিহীন যাত্রায় শুধু প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি; বরং এটি হয়ে উঠেছে এক নতুন দূরদর্শী পথচলা। শিক্ষার মানোন্নয়ন, গবেষণার বিস্তার, অবকাঠামো উন্নয়ন, সহশিক্ষা কার্যক্রমসহ প্রতিটি স্তরেই তাঁর গতিশীল নেতৃত্ব এবং কার্যকর প্রতিটি উদ্যোগ ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে এবং বাহিরে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তাঁর গতিশীল নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে সুশৃঙ্খল, আধুনিক এবং গবেষণানির্ভর উচ্চশিক্ষার একটি কেন্দ্রে ধাপে ধাপে রূপ নিচ্ছে। নানা চ্যালেঞ্জ ও সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও তিনি যে স্বচ্ছতা, আন্তরিকতা ও নিয়মতান্ত্রিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন, তা বিশ্বদ্যিালয়ে নতুন স্বপ্ন ও আস্থার সঞ্চার করেছে।

তাঁর এক বছরের অর্জনগুলো কেবল সংখ্যা দিয়ে পরিমাপ সম্ভব নয়; বরং তা ভবিষ্যতের সম্ভাবনার দরজা খুলে দিয়েছে। সামনে আরও বড় স্বপ্ন, একটি গুণগতমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করা; যেখানে জ্ঞানচর্চা, গবেষণা এবং উদ্ভাবন সমান গুরুত্ব পাবে। সেভাবেই তিনি সময়ের চাহিদা বিবেচনা করে বিশ্বদ্যিালয়কে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বের সাথে টিকে থাকার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২০০৮ সালের ৫ জুন ৩০ একর জায়গার উপর পাবনা শহর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার পূর্বে ঢাকা-পাবনা মহাসড়কের পাশে রাজাপুর নামক স্থানে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে ৫টি অনুষদের অধীনে ২১টি বিভাগে প্রায় ৬ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন।

গত বছর যোগদানের সময় উপাচার্য ড. আব্দুল-আওয়াল বলেছিলেন, ‘‘আমার কাছে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাবে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানমুখী করে গড়ে তোলা এবং সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হবে। সবাইকে সহনশীল হয়ে, নিজের দায়িত্ব স্বচ্ছতা ও সততা দিয়ে পালনের মাধ্যমেই শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে। সকলের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়কে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে একটি সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। তিনি আরও বলেছিলেন, শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নের জন্য দীর্ঘমেয়াদি টেকসই পরিকল্পনা নিয়ে আগাতে হবে। তাহলে এক সময় বিশ্ববিদ্যালয়টি জাতীয়ভাবে সুনাম অর্জনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়েও ভালো অবস্থান ধরে রাখতে পারবে।’’

যোগদান করেই তিনি শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে ভিন্ন ভিন্ন দিনে মতবিনিময় করেন। মতবিনিময়ে তাঁরা বিভিন্ন বিষয়ে খোলামনে মত ব্যক্ত করেন। যোগদানের সময়ের অঙ্গীকার ও প্রত্যাশা পূরণের জন্য তিনি গঠনমূলক কাজ করে যাচ্ছেন। ৩৬৫ দিনে তিনি দৃশ্যমান অনেক কাজই করেছেন; যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে গবেষণা ও উদ্যোক্তা বিষয়ে কোনো ইনস্টিটিউট বা সেল ছিলনা। তিনি এ বছর ‘ইনস্টিটিউট অব ইনোভেশন অ্যান্ড অন্ট্রাপ্রেনারশিপ ডেভেলপমেন্ট’, ‘রিসার্চ অ্যান্ড টেকনোলজি ট্রান্সফার সেল’ এবং ‘সেল ফর ন্যাশনাল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল কোলাবোরেশন’ নামে একসাথে একটি ইনস্টিটিউট ও দুটি সেল গঠন করেন। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দক্ষ করে তুলতে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি একজন পরিচ্ছনকর্মীর অবদানও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বর্তমান প্রশাসন সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছে। পরিচ্ছন্নকর্মীদেরও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

আবাসিক হলগুলোতে বিগত সময়ে নানাবিধ সমস্যা ছিল। বর্তমানে হলগুলোতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং সীমিত সম্পদের মধ্যে বেশকিছু সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য হলে ফ্রিজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ছাত্রদের আবাসন সংকট সমাধানের জন্য এক হাজার আসনবিশিষ্ট একটি হল চালু করা হয়েছে এবং ছাত্রীদের জন্যও এক হাজার আসনবিশিষ্ট একটি হল চালু হওয়ার প্রক্রিয়াধীন আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি মাত্র ক্যান্টিন; যা ক্যাফেটেরিয়া নামে পরিচিত। এর খাবার ও সেবার মানে বলা যায়, উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে। এখন দেখা যায়; শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা বাসা থেকে খাবার না এনে ক্যান্টিনেই অনেক সময় খাবার খেয়ে নিচ্ছেন। এমন ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে প্রশাসনের সদিচ্ছার কারণে। শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুম সংকট সমাধানের জন্য ২টি ১২ তলাবিশিষ্ট একাডেমিক ভবন চালু করা হয়েছে। এ ছাড়াও বেশকিছু ভবন চালু হয়েছে এবং কিছু ভবন চালু হওয়ার অপেক্ষায় আছে। ভবনগুলো করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় প্রকল্পের অধীনে এবং কয়েক বছর পূর্বে থেকে কাজ চলমান ছিল।

উপাচার্য ড. আওয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ও মেডিকেল সেন্টারের সেবার মানও বৃদ্ধি করেছেন। আগে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকত, এখন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখা হয়। মেডিকেল সেন্টার আগে খোলা থাকত সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত, এখন চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখা হয়। এ ছাড়াও ফোনে ২৪ ঘণ্টাই সেবা নেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। শিক্ষা ও গবেষণা ছাড়াও শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন সহশিক্ষামূলক কার্যক্রম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। পাবনায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত শহীদদের নামে আন্তবিভাগ ফুটবল ও ক্রিকেট টুর্নামেন্ট সম্পন্ন হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো এ বছর ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ প্রথম জাতীয় ব্যবসায় সম্মেলন এবং মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ জাতীয় সম্মেলন আয়োজন করে। অন্যান্য অনুষদগুলোও সামনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মেলন করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন প্রতিটি স্তরে গতিশীলতা ও কর্মচাঞ্চলতা ফিরে এসেছে। বিভিন্ন সভা, প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, প্রশিক্ষণ, কর্মশালার মতো বিদেশে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষার্থীদের আগ্রহী ও দক্ষ করে তুলতে সেমিনার হচ্ছে। সিভি তৈরি, স্কলারশিপ পাওয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযোগ, মেইল করা এসব বিষয়েও দিনব্যাপী সেমিনারে উপাচার্য নিজেই রিসোর্স পারসন হিসেবে শিক্ষার্থীদের বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য দিকনির্দেশনা ও উদ্বুদ্ধ করছেন। স্পেনের শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিমাগো ইনস্টিটিউশন কর্তৃক ২০২৫ সালে প্রকাশিত সিমাগো র‌্যাঙ্কিংয়ে পাবিপ্রবি দেশের সরকারি ও বেসরকারি ৪৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১২তম স্থান অর্জন করেছে। এবার বিশ্বসেরা ২% গবেষকের তালিকায় এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ জন শিক্ষক এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। গত বছর ১ জন শিক্ষক এই কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন।

শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আপিল ও শৃঙ্খলাবিধি নীতিমালা করা হয়েছে। এর আগে এমন কোনো নীতিমালা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলনা। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিদেশে ভ্রমণ এবং শিক্ষা গ্রহণ সংক্রান্ত কাজে সর্বোচ্চ ৩ মাস পর্যন্ত ছুটি উপাচার্য কর্তৃক অনুমোদনের নীতিমালা করা হয়েছে। আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন নিতে হতো। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের জন্য উচ্চশিক্ষা নীতিমালা নেই। তাঁদের উচ্চশিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করতে শিক্ষাছুটির নীতিমালা প্রণয়নের জন্য কমিটি হয়েছে। কমিটির কাজ চলমান। আশা করা যাচ্ছে, শিগগিরই নীতিমালা বাস্তবায়িত হবে। উপাচার্য ড. আওয়াল-এঁর সদিচ্ছার কারণে সর্বত্র ইতিবাচক পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে। তিনি সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও নিষ্ঠা দিয়ে কাজ করছেন। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সকলের মধ্যে এক চমৎকার ভাবমূর্তি তৈরি হচ্ছে।

২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং নবাগত প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে একটি করে দৃষ্টিনন্দন স্যুভেনির প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে একটি করে একাডেমিক ক্যালেন্ডার জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর হতে প্রদান করা হয়েছে। আগে এমনভাবে প্রদান করা হয়নি। এ সবকিছুই হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি উপাচার্যের নিখাদ দরদের জন্য। শিক্ষা ও গবেষণাকে এগিয়ে নিতে বেশকিছু বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের সাথে সমঝোতা স্মারক চুক্তি হয়েছে।

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য পুরো ক্যাম্পাসে পরিকল্পিতভাবে এ বছর ৭০’র অধিক প্রজাতির দুর্লভ ঔষধি, বনজ, ফল ও ফুলের এক হাজারের অধিক গাছ লাগানো হয়েছে। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আপগ্রেডেশন ও নিয়োগ কমিটিগুলো নতুনভাবে গঠন করা হয়েছে; ফলে আপগ্রেডেশন ও নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের গবেষণায় আরও বেশি উৎসাহ প্রদানে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষকদের প্রতি গবেষণা প্রকল্পের জন্য দুটি ক্যাটাগরীতে ৩ লাখ ও ৫ লাখ টাকা প্রদান করা হবে। প্রতিটি প্রকল্পে বাধ্যতামূলক একজন ছাত্র বা ছাত্রীকে সংযুক্ত করা হবে। নীতিমালা অনুযায়ী স্নাতক পর্যায়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী ৪ হাজার, স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ৫ হাজার এবং পিএইচডি অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীকে প্রতি মাসে গবেষণা সহকারী (রিসার্চ অ্যাসিস্টেন্ট) হিসেবে ১০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হবে। এ ছাড়াও শিক্ষা ও গবেষণাকে এগিয়ে নিতে উপাচার্য ড. আওয়াল আরও অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।

উপাচার্য ড. আব্দুল-আওয়ালের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসানের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা তাঁকে আরও সামনের দিকে অগ্রসর হতে ভূমিকা পালন করছে। উপাচার্য ড. আওয়াল মাত্র একবছরে যেসব উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন, তা বিশ্ববিদ্যালয়ের গুণগত ও দৃশ্যমান পরিবর্তনে এক ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে।

এ বিষয়ে এক বছরের মূল্যায়ন নিয়ে রেজিস্ট্রার দপ্তরের উপপরিচালক মো. আলমগীর হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি সংক্ষেপে বলেন, ‘‘ভঙ্গুর অবস্থা হতে একটি সিস্টেমের মধ্যে প্রশাসনকে পরিচালনার জন্য সকল কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিগত সময়ে যাই হোক না কেন, বর্তমানে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে একটি সিস্টেম ডেভেলপের জন্য সকল উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে খুব শিগগিরই বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে আসীন হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।’’

পরিশেষে বলা যায়, উপাচার্য ড. আব্দুল-আওয়ালের নেতৃত্বে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের একসাথে নিয়ে এভাবে চলতে থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়টি খুব দ্রুতই একটি সম্মানজনক অবস্থায় পৌঁছাবে।

লেখক : মো. বাবুল হোসেন
উপপরিচালক (জনসংযোগ)
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।