পণ্য ক্রেতার স্ত্রীর মৃত্যুতে পরিবাররকে আর্থিক সহায়তা দিল ওয়ালটন
পাবনা প্রতিনিধি: পাবনার চাটমোহর উপজেলায় কিস্তিতে পণ্য ক্রেতার স্ত্রীর মৃত্যুতে তার পরিবাররকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটন। সহজ কিস্তিতে ফ্রিজ কেনা মো. আতোয়ার প্রামানিকের পরিবার প্রতিষ্ঠানটির ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষা নীতির’ আওতায় এ সুবিধা পেয়েছে।
সম্প্রতি ক্রেতাদের জন্য ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষা নীতি’ চালু করেছে ওয়ালটন। এর আওতায় দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তিতে পণ্য ক্রয়কারীদের কিস্তি সুরক্ষা কার্ড দেওয়া হচ্ছে। কিস্তি চলমান থাকা অবস্থায় ক্রেতার মৃত্যু হলে পণ্যমূল্যের ভিত্তিতে ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ এবং তার পরিবারের কোনো সদস্য মারা গেলে ২৫ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত সহায়তা দিচ্ছে ওয়ালটন প্লাজা। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পণ্যের অনাদায়ী কিস্তির টাকা সমন্বয়ের পর অবশিষ্ট টাকা ক্রেতা বা তার পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে।
রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চাটমোহর পৌর সদরের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ওয়ালটন প্লাজায় কিস্তি ক্রেতা মো. আতোয়ার প্রামানিকের স্ত্রী মোছা. হাজেরা খাতুনের মৃত্যুতে তার পরিবারের হাতে নগদ অর্থ তুলে দেওয়া হয়।
এ সময় ওয়ালটনের ডিভিশন-১০ এর চিফ ডিভিশনাল অফিসার মোহাম্মদ কাজী আরিফ, ডিভিশনাল ক্রেডিট ম্যানেজার মো. ওবায়দুর রহমান, রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার মো. ফয়সাল হোসেন, ক্রেডিট মনিটর মো. মাসুদ রানা, ওয়ালটন প্লাজা চাটমোহর শাখার ম্যানেজার মো. মিজানুর রহমান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলম হোসেন, সাংবাদিক তোফাজ্জল হোসেন বাবু সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও ওয়ালটন প্লাজায় কর্মরত সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ওয়ালটনের ডিভিশন-১০ এর চিফ ডিভিশনাল অফিসার কাজী আরিফ হোসেন বলেন, ওয়ালটন সহজ কিস্তিতে পণ্য দিয়ে থাকে। সেই সঙ্গে যদি কিস্তি পরিশোধকালীন ক্রেতা বা তার পরিবারের সদস্য কেউ মারা যায়, তাহলে আর্থিক সুবিধা দেওয়া হয়।
কিস্তিতে পণ্য ক্রেতা মো. আতোয়ার প্রামানিক বলেন, ‘মাত্র ৪ হাজার ৪০০ টাকা ডাউনপেমেন্ট দিয়ে কিস্তি সুবিধায় ওয়ালটন প্লাজা থেকে একটি ফ্রিজ কিনেছিলাম। এরপর আমার স্ত্রী হাজেরা খাতুন শারীরিক অসুস্থতা জনিত কারনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। স্ত্রীকে হারিয়ে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়লে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে ওয়ালটন।’
তিনি আরো বলেন, ‘ওয়ালটন প্লাজার ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষা নীতির’ আওতায় উল্টো তাদের পরিবারের জন্য নগদ ২৫ হাজার টাকা তার হাতে তুলে দিয়েছে ওয়ালটন। এমন অসহায় পরিস্থিতিতে পরিবারের পাশে দাঁড়ানোয় ওয়ালটন প্লাজা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান তিনি। তার মতে ক্রেতাদের জন্য ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষা নীতি’ ওয়ালটনের এ উদ্যোগ যুগান্তকারী।’
ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজার মো. মিজানুর রহমান বলেন, কিস্তি চলমান থাকা অবস্থায় ক্রেতার মৃত্যু হলে পণ্যমূল্যের ভিত্তিতে ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ এবং তার পরিবারের কোনো সদস্য মৃত্যুবরণ করলে ২৫ হাজার থেকে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত সহায়তা দিচ্ছে ওয়ালটন প্লাজা। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পণ্যের অনাদায়ী কিস্তির টাকা সমন্বয়ের পর অবশিষ্ট টাকা ক্রেতা বা তার পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে।
ওয়ালটন এর ডিভিশনাল ক্রেডিট ম্যানেজার মো.ওবায়দুর রহমান বলেন, ক্রেতা মারা গেলে কিস্তি মওকুফসহ আর্থিক সহায়তা দেওয়া ওয়ালটন প্লাজার একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। বিশ্বে এমন উদ্যোগের উদাহরণ কেবল ওয়ালটন প্লাজার। কিস্তিতে পণ্য কিনে কিস্তি পরিশোধের আগে মারা গেলেও পণ্যের কোনো দায়ভার গ্রহণ করতে হয় না পরিবারের সদস্যদের। ক্রেতাদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার জন্য আমাদের এ উদ্যোগ।